শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে দুই পুলিশ কর্মকর্তাতে মারধর করে আহত করা হয়েছে। আহত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে শুক্রবার সকালে মামলা করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বগা ইউনিয়নের বানাজোড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে।
আহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন ওই উপজেলার বগা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহ ও একই ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাদব চন্দ্র দে। ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. আশ্রাফ হোসেন (৩০)। সে বগা ইউনিয়ন বিদ্রোহী কমিটির ছাত্রলীগের সভাপতি। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। অনুমোদিত কমিটির পদধারীরা বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক জুয়েল এর সমর্থক। আর পদবঞ্চিতরা পাল্টা আরেকটি কমিটি করেছেন। সেই কমিটির নেতাকর্মীরা স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজের সমর্থক। আশ্রাফ হলেন এমপি ফিরোজ সমর্থক।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের পোশাক পরিহিত অবস্থায় পরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহ ও একই ফাঁড়ির এসআই মাদব চন্দ্র দে মোটরসাইকেলযোগে টহলরত অবস্থায় ছিলেন। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের সময় বানাজোড়া গ্রামের তিন রাস্তার মোড় এলাকায় ৮ থেকে ১০ জন যুবক আড্ডা দিচ্ছিল। তখন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাঁদেরকে বর্তমান পরিস্থিতিতে জড়ো না হওয়া এবং আড্ডা না দিতে নিষেধ করেন। তখন আশ্রাফ ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের (পুলিশ) উদ্দেশ্যে বলেন, তোদের কাজ তোরা কর। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আশ্রাফের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আশ্রাফ ও তাঁর লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং তাঁদের দুজনকে পিটিয়ে আহত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে বগা ফাঁড়ির অন্য পুলিশ সদস্যরা গিয়ে আহত দুই পলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরিদর্শক মো. মহিবুল্লাহ বাদী হয়ে আশ্রাফের নাম উল্লেখ করে ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করে পুলিশ পেটানোর অভিযোগে বাউফল থানায় মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, আশ্রাফ ছাত্রলীগের কেউ না। তিনি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বেড়ায়। এ কারণে তাঁকে কোনো পদ দেওয়া হয়নি। আমি এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এর আগেও সে পুলিশের সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে দ্বিতীয়বার সে পুলিশেকে মারধর করেছে।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply